দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় এবং এলজিইডি বাস্তবায়িত রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট-এর আওতায় “ক্লাস্টার উন্নয়ন পরিকল্পনা, ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান এবং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট একশন প্ল্যান” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ঘোড়াঘাট পৌরসভা সভাকক্ষে আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মামুন কাওছার শেখ। কর্মশালার মূল উপস্থাপনা করেন প্রকল্পের কারিগরি বিশেষজ্ঞ মো. নূরুল আমিন তালুকদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিএলসিসি সদস্যবৃন্দ, নগর পরিকল্পনাকারী মো. সাইফুর রহমান, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আল-আমিন, সামাজিক ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মো. জাহিদুল ইসলাম, আর্কিটেক্ট আজমিরা আক্তার ও জেন্ডার বিশেষজ্ঞ সাজেদা কোম।
বক্তারা বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের পৌরসভাগুলোকে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের পৌরসভার সঙ্গে সংযুক্ত করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি, গ্রামীণ ও নগর সম্পর্ক জোরদার এবং জলবায়ু সহনশীল নগর ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৬ বছরে ৮১টি পৌরসভা ও ৬টি সিটি কর্পোরেশনে কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে, যা ৩৬টি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করছে। এর মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন, যাদের অর্ধেক নারী।
কর্মশালায় জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় রাস্তা ও ফুটপাত উন্নয়ন, ড্রেন নির্মাণ, সড়কবাতি স্থাপন, বাজার ও বাস টার্মিনাল উন্নয়ন, পাবলিক টয়লেট, সুপারমার্কেট, ব্রিজ, কালভার্ট ও পৌর ভবন নির্মাণসহ আধুনিক নগর সেবা নিশ্চিত করা হবে।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ঘোড়াঘাট একটি আধুনিক, সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল পৌরসভা হিসেবে গড়ে উঠবে।
কর্মশালায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
কালের সমাজ/ সাএ


আপনার মতামত লিখুন :