গাজীপুর শ্রীপুরে লবলঙ্গ নদীতে এক সময় বড় বড় লঞ্চ, স্ট্রিমার, জাহাজ চলাচল করতো। কিন্তু এখন আশপাশ এলাকার মিল ফ্যাক্টরির বাসা বাড়ির ও বাজারের ময়লা আবর্জনা এখানে এনে ফেলা হয়। ময়লা আবর্জনা ফেলা ও সময়ের পরিষেবায় এখন নদী হয়ে গেছে একটি খালের মতন। এ অবস্থায় লবলঙ্গ নদী খনন কার্যক্রম নিয়ে উঠেছে তীব্র সমালোচনা ও প্রশ্ন। স্থানীয়দের অভিযোগ—কোনো ধরনের সীমানা নির্ধারণ ছাড়াই নদী খননের নাম করে চলছে যেন ‘তামাশা’। খনন প্রকল্পের আওতায় ময়লা–আবর্জনা নদীতেই রেখে শুধু উপরিভাগে কিছু মাটি সরিয়ে কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তাদের।
জানা যায়, লবলঙ্গ নদী খনন ও পুনর্খননের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট পক্ষ এখনো নদীর প্রকৃত সীমানা চিহ্নিত করেনি। ফলে কোথা থেকে কোথায় নদীর মূল প্রবাহ, কোথায় দখল—এসব না জেনেই খননের নামে চলছে দায়সারা কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,
“নদীর দুই পাড় দখলমুক্ত না করে, ময়লা–বর্জ্য পরিষ্কার না করে কিসের খনন?
“এটা পুরোপুরি জনগণের টাকা অপচয়।
“খনন হলে নদী প্রশস্ত হওয়ার কথা, কিন্তু মাঠদৃশ্য দেখে বোঝার উপায় নেই।
এদিকে পরিবেশ অধিকারকর্মীরা বলছেন, সীমানা নির্ধারণ, দখল উচ্ছেদ ও বর্জ্য অপসারণ ছাড়া নদী খনন কার্যক্রম কখনোই সফল হয় না। এতে বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, ধাপে ধাপে খনন কাজ চলছে এবং শিগগিরই সীমানা নির্ধারণ ও বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে জনগণ বলছে—কাজ মাঠে না দেখা গেলে এসব শুধু আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
কালের সমাজ/ সাএ


আপনার মতামত লিখুন :