তুরস্কের ফাইটার জেট প্রযুক্তিতে নতুন মাইলফলক। মানববিহীন যুদ্ধবিমান ‘বায়রাকতার কিজিলেলমা’ সফলভাবে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র (বিভিআর) ছুড়ে জেট ইঞ্জিনচালিত একটি চলন্ত লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করেছে।
সম্প্রতি তুরস্কের বৃহৎ ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়কার ঘোষণা করে, বিশ্বের প্রথম মানববিহীন যুদ্ধবিমান হিসেবে কিজিলেলমা এই সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে।
তুরস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এন-সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে বায়কার জানায়, “বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনো মানববিহীন যুদ্ধবিমান বিভিআর দূরত্বে এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে চলন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানল।”
বায়কার আরও জানায়, স্থানীয়ভাবে তৈরি আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ‘গোকদোয়ান’ নিক্ষেপ করে কিজিলেলমা উচ্চগতির জেটচালিত লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁতভাবে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
তুরস্কের ইতিহাসে এটাই প্রথম ঘটনা যেখানে কোনো মানববিহীন যুদ্ধবিমান স্থানীয় রাডার ব্যবস্থাপনা ব্যবহার করে আকাশ থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে জেটচালিত উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুতে সফল আঘাত হেনেছে। এই অর্জনের মধ্য দিয়ে কিজিলেলমা বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র মানববিহীন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আকাশযুদ্ধ সক্ষমতার স্বীকৃতি পেল।
তুরস্কের শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মেহমেত ফাতিহ কাচির বলেন, বিশ্বে তুরস্কের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে তুরস্কের জাতীয় প্রযুক্তি সক্ষমতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে আকাশে আধিপত্যের নিয়ম নতুন করে লেখা সম্ভব।
কালের সমাজ/এসআর


আপনার মতামত লিখুন :