আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমে উঠেছে গরু মোটাতাজাকরণের কার্যক্রম। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে উপজেলার শতাধিক খামারে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন খামারিরা।
খামারিরা জানাচ্ছেন, কোনো প্রকার ক্ষতিকর ইনজেকশন কিংবা রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। খড়, খৈল, ভুসি ও কাঁচা ঘাস—এই দেশীয় খাদ্য উপকরণেই পালন করা হচ্ছে পশুগুলো।
রূপগঞ্জের সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় বর্তমানে দুই শতাধিক খামারে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, খামারগুলোতে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, পাকা ঘর, ফ্যানের ব্যবস্থা এবং গরুর জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিটি খামারেই চলছে ২৪ ঘণ্টার নিবিড় তত্ত্বাবধান ও চিকিৎসা সহায়তা।
রূপগঞ্জ উপজেলার একজন খামারি বলেন, “আমরা কোনো শর্টকাট পদ্ধতি অনুসরণ করছি না। প্রাকৃতিক খাদ্য খাইয়ে গরুগুলোকে যত্ন করে বড় করছি। এতে খরচ কিছুটা বেশি হলেও গরুগুলো সুস্থ থাকছে।”
রূপগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সজল কুমার দাস জানান, “এবারের কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রূপগঞ্জের প্রায় ২০০ খামারে সাড়ে পাঁচ হাজার গরু প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে গরু লালনপালন করছেন খামারিরা। আমরা খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি এবং ক্ষতিকর ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “রূপগঞ্জের চাহিদা পূরণ করে আশপাশের উপজেলা ও রাজধানীতেও গরু সরবরাহ সম্ভব হবে। মাঠপর্যায়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক খামারিদের পাশে রয়েছেন।”
খামারিদের এমন সৎ প্রচেষ্টা ও সরকারি তত্ত্বাবধান—দুইয়ের সমন্বয়ে রূপগঞ্জে গরুর বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে।
কালের সমাজ//এসং//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :