আগামী ৫ জুলাই গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা বিএনপির সম্মেলন। এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সম্মেলন সফল করতে উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে মিছিল, মতবিনিময় সভা এবং প্রস্তুতি কার্যক্রম।
দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সরকারি দল আওয়ামী লীগের কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকলেও, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমের নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ বিএনপি ধীরে ধীরে সংগঠিত হয়েছে বলে স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন।
২০০৮ সালের পর দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির কোনো সম্মেলন না হলেও, সেলিমুজ্জামান সেলিমের প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালে গঠিত হয় আহ্বায়ক কমিটি। শরীফ রাফিকুজ্জামানকে আহ্বায়ক ও এম মনসুর আলীকে সদস্য সচিব করে জেলা বিএনপির পুনর্গঠন শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ সদর ও সর্বশেষ কোটালিপাড়া উপজেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় নেতারা জানান, গোপালগঞ্জ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে রয়েছেন বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—সেলিমুজ্জামান সেলিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এবং যুবদলের সাবেক সহ-প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পি।
নেতাকর্মীরা জানান, সেলিম ও জিলানী দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে সক্রিয় থাকায় কর্মীদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তবে মেজবাহ আহমেদের এলাকায় উপস্থিতির ঘাটতি এবং কেন্দ্রিক রাজনীতিতে বেশি সক্রিয় থাকায় তার প্রভাব তুলনামূলক কম। স্থানীয়ভাবে তাকে ঘিরে থাকা অনেকেই অতীতে আন্দোলনে অংশ নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রাজু বলেন, “বিগত দিনে যারা আন্দোলনে ছিল না, তারা যেন আজ দলের মূল নেতৃত্বে না আসে, সে বিষয়ে আমরা সতর্ক। ত্যাগী নেতাকর্মীদেরই মূল্যায়ন করতে হবে।”
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম খান বলেন, “দুর্দিনে যারা পাশে ছিল, তাদের হাত ধরেই আজ গোপালগঞ্জ বিএনপি সংগঠিত হয়েছে। আমরা আশা করছি, সম্মেলনে প্রকৃত ত্যাগীদের সম্মান জানিয়ে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন হবে।”
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিন জানান, “৫ জুলাইয়ের সম্মেলনকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপি আরও সুসংগঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।”
কালের সমাজ//এসং.র.ন
আপনার মতামত লিখুন :