শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বটতলী-কারাগাও এলাকার প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। এরপর প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ, ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ, শিক্ষার্থী, কৃষক ও রোগী যাতায়াত করেন। বর্ষা মৌসুমে গর্তগুলোতে পানি জমে গিয়ে সড়কটি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। প্রায়শই কাদাপানিতে পিছলে যানবাহন উল্টে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এতে করে শিশু, বৃদ্ধ, এমনকি স্কুলগামী শিক্ষার্থীরাও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় তরুণ হিমু বলেন, “গত বছরের বন্যার পর থেকে রাস্তাটির কোনো সংস্কার হয়নি। মানুষ প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় পড়ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বহুবার বলেছি, কিন্তু কেউ পাত্তা দেয়নি।”
কৃষক জাকির বলেন, “আমার জমিতে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাই এটা। কয়েকদিন আগে ট্রলিতে ধান নিয়ে যেতে গিয়ে উল্টে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।”
একই অভিযোগ শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তারের। তিনি বলেন, “প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। বর্ষায় কাদা-পানিতে পড়ে যাই, জামাকাপড় ভিজে যায়। ক্লাস করতে কষ্ট হয়।”
এলাকার এক নারী বলেন, “ভোট এলে সবাই আসে, কিন্তু এই রাস্তার দুরবস্থার কথা বললেও কেউ আর ফিরে তাকায় না।”
এলাকাবাসীর মতে, রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার হলে কৃষিকাজ সহজ হবে, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নিরাপদ হবে এবং জরুরি রোগী পরিবহনও নিরবচ্ছিন্নভাবে চলবে। দ্রুত সংস্কার না হলে বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল ইসলাম রাসেল জানান, “আমি বিষয়টি অবগত আছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কার কাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
কালের সমাজ//এসং.র.ন
আপনার মতামত লিখুন :