রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) অপসারিত মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ঈদের পর তাদের পুনর্বহাল না করা হলে লাগাতার আন্দোলনে নামবেন তারা।
গতকাল (বুধবার, ২৮ মে) দুপুরে নগর ভবনের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রসিকের অপসারিত কাউন্সিলরবৃন্দ, জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মোস্তাফা অভিযোগ করেন, “আইন অনুযায়ী কোনো মেয়র বা কাউন্সিলর অপসারিত হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো নির্বাচনের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “রংপুরে যে প্রশাসক বসানো হয়েছে, তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত। টাকা ছাড়া কোনো ফাইল নড়ে না। নাগরিক সেবা তো নেই, উল্টো জনগণের ওপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে।”
চট্টগ্রাম ও ঢাকার উদাহরণ টেনে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “চট্টগ্রামে ভোট বর্জন করেও বিএনপির নেতা মেয়র হয়েছেন, ঢাকায় ইশরাক মেয়র হচ্ছেন—তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এক দেশে ক’টা আইন চলবে?”
সরকার একদিকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করছে, অন্যদিকে ভোট বর্জন করেও অন্য নেতাদের মেয়র পদে বসানো হচ্ছে—এমন বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোস্তফা।
বিক্ষোভ সমাবেশের আগে দুপুরে শাপলা চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়, যা নগরীর কাচারী বাজার, সিটি বাজার ও পায়রা চত্বর হয়ে সমাবেশস্থলে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল চলাকালে বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মো. আমিরুজ্জামান পেয়েছিলেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট।
কালের সমাজ//এসং//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :