বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ক্ষমতা প্রদর্শন ও সাংবাদিকতার স্বীকৃত পেশাকে অপব্যবহার এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করার অভিযোগে তোপের মুখে পড়েছেন সাংবাদিক রায়হান আবিদ। এছাড়া তাকে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও রয়েছে। তবে ৫ আগস্টের পর তিনি ছাত্রদলের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৬ মে) দুপুরে ভর্তি কার্যক্রম চলাকালীন টিএসসি মিনি কনফারেন্সে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রায়হান বারবার কক্ষে প্রবেশের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা কারণ জানতে চাইলে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করে।
একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, রায়হান আবিদ তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা এম এ ইউসুফের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং ক্যাম্পাসে নিজের প্রভাব দেখিয়ে উগ্র আচরণ করতেন। প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি একটি সিঙ্গেল রুম একাই দখল করে সেখানে থাকতে চাইলে হলের শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিবাদ করে তাকে বের করার চেষ্টা করেছিল।
রায়হান আবিদ দৈনিক জনকণ্ঠ, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বাকৃবি প্রতিনিধি ছিলেন। ব্যক্তিগত স্বার্থে অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামানের সঙ্গে নিয়ে ‘বাকৃবি প্রেস ক্লাব’ নামে একটি সংগঠন গঠন করেন। সংগঠনটি শিক্ষক ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
রায়হান আবিদ বলেন, “হঠাৎ করেই আমাকে কয়েকজন মারধর করে, বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন, কানে শুনতে সমস্যা হচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম জানান, ভর্তি কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকায় ঘটনার বিস্তারিত জানা নেই।
এই ঘটনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও ক্ষমতা প্রদর্শনের অপব্যবহার নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
কালের সমাজ//এসং//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :