গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সারা দেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে, যা চলবে শনিবার (৩১ মে) পর্যন্ত। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) পর্যন্ত দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে নোয়াখালীতে—১৬৮ মিলিমিটার। ঢাকায় রেকর্ড হয়েছে ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, নিম্নচাপটি ঘণ্টায় প্রায় ৬০ কিলোমিটার বেগে বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে আসে এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া হয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে। এর প্রভাবে দেশের ৮টি বিভাগেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, অমাবস্যার কারণে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট বেশি হতে পারে। ফেনী, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোণা, হবিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে সাময়িক বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে সিলেট অঞ্চলের যাদুকাটা, খোয়াই, সারিগোয়াইন নদীগুলো। ফেনী, গোমতী, মহুরী ও কহুয়া নদীতেও পানির উচ্চতা বাড়তে পারে।
চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় স্থানীয়দের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ফেনী, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা—এই ১৬টি জেলায় সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৩১ মে থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :