ইরানের রাজধানী তেহরান ও আশপাশের অঞ্চলে একাধিক পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় রাতভর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের এলিট ফোর্স ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) শীর্ষ নেতা জেনারেল হোসেইন সালামি।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমগুলো তার মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে। তারা জানায়, হামলার সময় জেনারেল সালামি রাজধানী তেহরানে আইআরজিসি সদর দপ্তরে অবস্থান করছিলেন।
রয়টার্স ও সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান থেকে চালানো হামলায় আইআরজিসি সদর দপ্তর ছাড়াও তেহরানে আরও কিছু সামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর তীব্র ধোঁয়া ও আগুন দেখা গেছে।
২০১৯ সাল থেকে আইআরজিসির কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন হোসেইন সালামি। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ও সামরিক কৌশল নির্ধারণে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইরানের প্রভাব বিস্তারে তার নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে একাধিক সামরিক তৎপরতা।
এই ঘটনায় ইরানে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী এবং রেভল্যুশনারি গার্ড সালামির মৃত্যুর বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আইআরজিসি কেবল একটি সামরিক বাহিনী নয়, বরং এটি ইরানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। দেশটির ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে ভেতর ও বাইরের হুমকি মোকাবেলায় এই বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা রাখে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনাকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে, যার প্রভাব পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কালের সমাজ//এ.স//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :