ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

মার্কিন হামলায় ধ্বংস হয়নি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা

কালের সমাজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ২৫, ২০২৫, ১০:৪০ এএম মার্কিন হামলায় ধ্বংস হয়নি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা

যুক্তরাষ্ট্রের চালানো বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো ধ্বংস হয়নি, কেবলমাত্র পারমাণবিক কার্যক্রম কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে পড়েছে—এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ)।


গত শনিবার অত্যাধুনিক বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান থেকে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বাংকার বাস্টার বোমা ছুঁড়ে ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান এলাকার পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘চূড়ান্ত সাফল্য’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু মাত্র তিন দিন পরেই পেন্টাগনের গোয়েন্দা মূল্যায়ন ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছে।


গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রমের মূল ভিত্তি—সেন্ট্রিফিউজগুলো বড় কোনো ক্ষতির শিকার হয়নি। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রধানত অবকাঠামো ও স্থলভাগের স্থাপনাগুলো। ভূগর্ভস্থ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো প্রায় অক্ষত রয়েছে।


ডিআইএ-এর এই প্রাথমিক প্রতিবেদনের তথ্য মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হলে হোয়াইট হাউস তা প্রত্যাখ্যান করে জানায়, গোয়েন্দাদের এই বিশ্লেষণ সঠিক নয় এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হেয় করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা উপস্থাপন করা হচ্ছে।


সিবিএস নিউজকে একাধিক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হামলার আগে ইরান পারমাণবিক ইউরেনিয়ামের একটি অংশ অন্যত্র সরিয়ে নেয়। এর ফলে হামলার ক্ষয়ক্ষতি আরও সীমিত হয়।


হামলার পর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন দাবি করেছিলেন, আঘাত হানা প্রতিটি স্থাপনাতেই ব্যাপক ধ্বংস সাধিত হয়েছে। কিন্তু পেন্টাগনের সর্বশেষ মূল্যায়ন বলছে, এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সাময়িকভাবে থামাতে সক্ষম হলেও এটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারেনি।


স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, ফোর্দোর পারমাণবিক কেন্দ্রের দুটি প্রবেশপথের পাশে ছয়টি গর্ত ও ধ্বংসস্তূপ দেখা যাচ্ছে। তবে ভূগর্ভস্থ স্থাপনার প্রকৃত অবস্থা এ চিত্র থেকে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।


এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া পোস্টে বলেন, নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন সামরিক ইতিহাসের অন্যতম সফল এই অভিযানের ব্যাপারে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।


গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করছে, ইরানকে পুরোপুরি থামানো যায়নি—তারা কত দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো পুনর্গঠন করতে পারে, তার ওপরই নির্ভর করবে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি আবার পুরোদমে শুরু হওয়ার সময়সীমা।


কালের সমাজ//এসং.র.ন

Side banner
Link copied!