শিগগিরই বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করে একটি নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এই একীভূত প্রক্রিয়ার ফলে কর্মীদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
রোববার (১৪ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর জানান, ব্যাংক একীভূতকরণের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বিষয় জড়িত নয়। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, “নির্বাচন নয়, বরং কার্যকর ব্যাংক ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই একীভূতকরণ সম্পন্ন হবে।”
তিনি আরও বলেন, “চাকরিচ্যুতির কোনো প্রশ্নই আসে না। তবে শাখা কাঠামোয় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে শহর এলাকায় ঘনত্ব বেশি এমন শাখা কিছুটা ছড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে—যেমন গ্রাম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থানান্তর।”
পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, “এই প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে এগোতে হবে। কোনো অর্থ ফিরিয়ে আনতে হলে আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আবশ্যক। এজন্য আগে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে আইনগত ভিত্তি তৈরি করতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা চাই আদালতে যাচাই হোক আমাদের দাবির যথার্থতা। আদালতের রায় অনুযায়ীই সম্পদ পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।”
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) ব্যবস্থার দিকেও দৃষ্টি দেওয়ার কথা জানিয়ে গভর্নর বলেন, “আদালতের বাইরেও আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছে অর্থ ফেরত আনা যেতে পারে। এর জন্যও নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যেখানে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা ভূমিকা রাখেন।”
তিনি জানান, দেশীয় সম্পদের বিষয়ে দেশের আদালতে এবং বিদেশে অবস্থিত সম্পদের জন্য সেই দেশের আদালতে মামলা করতে হবে। সরকার থেকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা এলেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় আইনি প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :