ঢাকা সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত ট্রাম্পের

কালের সমাজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ৩০, ২০২৫, ১০:৫০ এএম ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত ট্রাম্পের

ইরান যদি সহযোগিতামূলক মনোভাব দেখায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো বৈরী পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে— এমন বার্তা দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।


রোববার (২৯ জুন) ফক্স নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “যদি ইরান শান্তিপূর্ণ আচরণ করে এবং আমাদের সঙ্গে অংশীদারত্বে আসে, তবে আমি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারি।”


তিনি মনে করেন, “কোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোরতা নয়, বরং সদয় ও সংযত আচরণ অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে।” একইসঙ্গে তিনি ইরানের ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেন, বলেন— “এটি ভারী ও জটিল পদার্থ, হঠাৎ করে সরানো সম্ভব নয়। আর আমরা আগাম কোনো বার্তাও দেইনি। তারা ধারণাও করতে পারেনি আমরা হামলা করবো।”


ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের কারণে ইরান এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং স্বল্প মেয়াদে দেশটির পক্ষে পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। “তারা এখন ক্লান্ত। কিছু সময়ের জন্য তারা পারমাণবিক বিষয়ে আর কিছু করতে পারবে না,” বলেন তিনি।


আব্রাহাম চুক্তি নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ট্রাম্প। এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ চলছে। তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে চুক্তিতে রয়েছি। আরও কয়েকটি দেশ এতে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যদিও আমি তাদের নাম এখনই প্রকাশ করছি না। কারণ, পুরো অঞ্চলের প্রধান সংকট ছিল ইরান।”


উল্লেখ্য, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির হুঁশিয়ারির পর ট্রাম্প প্রশাসন এক সময় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। খামেনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালালে, তারা মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো টার্গেট করবে।


তবে সাম্প্রতিক এই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যে সুরে কথা বলেছেন, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে— যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর সুযোগ এখনও উন্মুক্ত রয়েছে, যদি তেহরান সহনশীলতা ও কূটনৈতিক পথ বেছে নেয়।


কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!