ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

কাফনের কাপড় পরে এনবিআরে আবারও কলম বিরতি

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৩, ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম কাফনের কাপড় পরে এনবিআরে আবারও কলম বিরতি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানের অপসারণ, কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধ এবং অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।


সোমবার (২৩ জুন) ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে কলম বিরতির অংশ হিসেবে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় অনেকে প্রতিবাদ জানান কাফনের কাপড় পরে।


আন্দোলনের মূল দাবিগুলো:

এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ
‘গোলামী আইন’ নামে পরিচিত অধ্যাদেশ বাতিল
বদলির নামে নিপীড়ন বন্ধ
আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধ


আন্দোলনকারীরা বলেন, সম্প্রতি আয়কর বিভাগে উপকর কমিশনার পর্যায়ে পাঁচ কর্মকর্তার রদবদল করা হয়েছে, যা আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী বদলির পর যোগদানের জন্য ৫ কর্মদিবস সময় দেওয়ার নিয়ম থাকলেও, এসব আদেশে তা মানা হয়নি বলেও তারা অভিযোগ করেন।


শনিবার (২১ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানায়, সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর সব এনবিআর দপ্তরে কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। একই সময় অন্যান্য জেলার দপ্তরগুলোতেও একই কর্মসূচি পালিত হবে।


গত ১২ মে এনবিআরকে দুটি পৃথক বিভাগে বিভক্ত করার অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর প্রতিবাদে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা আন্দোলনে নামেন। ২৬ মে পর্যন্ত চলে কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি। এরপর সরকার জানায়, এনবিআর বিলুপ্ত করা হচ্ছে না; বরং প্রতিষ্ঠানটিকে ‘স্বাধীন ও বিশেষায়িত’ বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করা হবে। এরপর আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করে ঐক্য পরিষদ।


তবে গত ২০ জুন এনবিআর সংস্কারে ছয় সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠনের পর আবারো অসন্তোষ দেখা দেয়। ঐক্য পরিষদ বলছে, এই কমিটিতে তাদের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কোনো আলোচনা করা হয়নি। ফলে তারা মনে করে, সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও এনবিআর চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সুষ্ঠু সংস্কার অসম্ভব।

সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য অনুযায়ী:এনবিআর চেয়ারম্যান এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।তিনি বিভিন্ন সভায় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।নতুন গঠিত কমিটিতে এমন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যারা পূর্বে সরকারেরঅধ্যাদেশকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এইসব কর্মকাণ্ড সংস্কার বাধাগ্রস্ত করে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে পারে।


সংগঠনের দাবি, বর্তমান চেয়ারম্যান থাকলে প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়। তাদের মতে, তিনি সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন এবং আন্দোলন বানচাল করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।


ভোরের আকাশ//হ.র

Side banner
Link copied!