ঢাকা রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

তিন সাবেক সিইসি বিরুদ্ধে ইসিতে বিএনপির অভিযোগ

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২২, ২০২৫, ১২:১৬ পিএম তিন সাবেক সিইসি বিরুদ্ধে ইসিতে বিএনপির অভিযোগ

দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দায়িত্বে থাকা তিন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ মোট ১৯ জন নির্বাচন কমিশনার ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দিয়েছে বিএনপি। দলটি জানিয়েছে, এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


রোববার (২২ জুন) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত আবেদনটি ইসিতে জমা দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন মিজানুর রহমান, ইকবাল হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।


সালাহ উদ্দিন খান বলেন, “২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের জন্য তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনাররা সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। এ কারণে আমরা ইসিতে অভিযোগ জমা দিয়েছি এবং শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। অভিযুক্তদের মধ্যে সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও রাখা হয়েছে।”


তিনি আরও জানান, সিইসি তাদের বলেছেন যে, তিনি অভিযোগের কপি গ্রহণ করেছেন এবং যা সম্ভব আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। সিইসি দাবি করেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে।


এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনকারী নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্তে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় বিএনপি তাদের পক্ষ থেকে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে।


২০১৪ সালের নির্বাচন: কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে ভোট ছাড়াই আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিকরা বিজয়ী হন।


২০১৮ সালের নির্বাচন: কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে এই নির্বাচনে রাতেই ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ ওঠে। সরকার সমর্থিত জোট ২৮৮টি আসনে জয় পায়।


২০২৪ সালের নির্বাচন: বিএনপিসহ অধিকাংশ বিরোধী দল বর্জন করায় ভোটে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামী লীগের মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে। এ নির্বাচন ‘আমি-ডামি’ হিসেবে পরিচিতি পায়। নেতৃত্বে ছিলেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।


২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছাড়ে আওয়ামী লীগ। এরপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তে বিগত তিন জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন ও পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা সাবেক কমিশনারদের কর্মকাণ্ড তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়।


কালের সমাজ//এসং.র.ন

Side banner
Link copied!