ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

মৌলিক সংস্কারে একমত না হলে গণভোটের দাবি ইসলামী আন্দোলনের

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৮, ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম মৌলিক সংস্কারে একমত না হলে গণভোটের দাবি ইসলামী আন্দোলনের

মৌলিক সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একমত না হলে প্রয়োজনে গণভোট আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এ কথা বলেন। বুধবার (১৮ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের (এনসিসি) সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।


মাওলানা গাজী বলেন, “আজকের সংলাপে বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি— কিছু রাজনৈতিক দল, যারা অতীতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা ও নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত রাখার দাবি তুলেছিলেন, তারাই এখন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের বিরোধিতা করছেন। বিশেষ করে কয়েকটি বামপন্থি দল এটিকে এখনই গঠনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যা আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে।”


তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার পর সকল সরকারই, শুধু ফ্যাসিস্ট নয়, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণে ব্যবহার করেছে। এই প্রবণতা ঠেকাতেই এনসিসির প্রস্তাব আনা হয়েছে। এনসিসি কোনোভাবেই নির্বাহী বিভাগে হস্তক্ষেপ করবে না, বরং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সদস্যদের নিয়োগে একটি নিরপেক্ষ কাঠামো তৈরি করবে। এজন্য আমরা শুরু থেকেই লিখিতভাবে এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।”


তবে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা প্রসঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা মনে করি রাষ্ট্রপতিকে এনসিসির বাইরে রাখা উচিত, যেন প্রয়োজনে তিনি স্বাধীনভাবে মতামত দিতে পারেন। তবে প্রধান বিচারপতি বা বিচার বিভাগের একজন প্রতিনিধিকে এনসিসির সদস্য করা যেতে পারে।”


এনসিসি নিয়ে অহেতুক ভীতির কিছু নেই মন্তব্য করে গাজী আতাউর রহমান বলেন, “যারা প্রকৃতপক্ষে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিশালীকরণে অনাগ্রহী, তারাই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে। আমাদের দল স্বশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নিয়োগ এনসিসির আওতায় না এনে তা নির্বাহী বিভাগের হাতে রাখার পক্ষে মত দিয়েছে।”


তিনি আরও বলেন, “কিছু দল মৌলিক সংস্কার পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিতে, জুলাই অভ্যুত্থানের মূল দাবি ছিল ভবিষ্যতের যেকোনো স্বৈরতন্ত্র প্রতিরোধে মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করা। এজন্য যদি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হয়, তবে জনগণের মত যাচাইয়ে গণভোটের বিকল্প নেই। কারণ দলগুলো জনমতের প্রতিনিধিত্ব করলেও যদি তারা ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্রের পথ খুলে রাখে, তাহলে জনগণকে সরাসরি মত দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।”


সংলাপে ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে অংশ নেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এবং যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।


কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!