মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে দুই দফায় ২৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলকে চরম সতর্কাবস্থায় ফেলেছে ইরান। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, প্রথম দফায় ২২টি ও দ্বিতীয় দফায় ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
হামলার সময়ের ব্যবধান ছিল মাত্র আধা ঘণ্টারও কম—যা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত। সাধারণত দুই দফার মধ্যে দীর্ঘ বিরতি দেখা গেলেও এবার তা হয়নি।
আঘাত হানা এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে অধিকৃত সিরিয়ার গোলান মালভূমি, আপার গালিলি, এবং ইসরায়েলের উত্তর ও মধ্য উপকূলীয় অঞ্চল। অন্তত ১০টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র বা বড় ধরনের ধাতব টুকরোর আঘাতের প্রমাণ মিলেছে।
বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে, বিশেষ করে তেল আবিব ও হাইফা এলাকায়। তবে ঠিক কোন ধরনের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা জানায়, হামলায় অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা এখনো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন যেন কেউ চিকিৎসার বাইরে না পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ থেকে নিজেদের আকাশসীমা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল।
এদিকে, ইরানে মার্কিন হামলার সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফ্রিস।
তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেসের অনুমোদন না নিয়েই ট্রাম্প যুদ্ধ ঝুঁকিতে ফেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রকে। শনিবার (২১ জুন) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে ইরানের ওপর আঘাত হেনেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক নীতিমালার পরিপন্থী। এতে কূটনৈতিক সমাধানের পথ সংকুচিত হয়েছে।”
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন, স্থল অভিযানের তুলনায় নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক আকাশ হামলা অধিক নিরাপদ ও কার্যকর। ইরাক ও আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানে বিপুল প্রাণহানির অভিজ্ঞতা তাকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই দুই দেশে মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে ৭ হাজার ৮৫ জন, আহত হয়েছে ৫৩ হাজার ৫৩৩ জন।
কালের সমাজ//এসং.র.ন
আপনার মতামত লিখুন :