ঢাকা রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

শেখ হাসিনা ও সাবেক ৩ সিইসিসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২২, ২০২৫, ০২:৫০ পিএম শেখ হাসিনা ও সাবেক ৩ সিইসিসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,সাবেক ৩ নির্বাচন কমিশনার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিএনপি।


রোববার (২২ জুন) বেলা ১১টার কিছু পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলা নম্বর-১১।


মামলার অভিযোগে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘প্রশাসনিক সহায়তায় কারচুপি ও ভোটহীন নির্বাচন’ আয়োজনের অভিযোগ আনা হয়েছে।


আসামিদের মধ্যে আছেন—তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, আবু হানিফ, জাবেদ আলী (অব.) ও শাহ নেওয়াজ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তৎকালীন আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা ও কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, তৎকালীন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, সাবেক র‍্যাব মহাপরিচালক ও আইজিপি বেনজীর আহমেদ, আইজিপি শহীদুল হক, এসবি’র সাবেক প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, নাম না জানা সাবেক ডিজিএফআই ও এনএসআই প্রধান এবং ঢাকা রেঞ্চের তৎকালীন ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম।


মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক বলেন, “মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা সাংবিধানিক দায়িত্বে থেকেও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভোট আয়োজন করেছেন এবং জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়াই প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করেছেন। এই কর্মকাণ্ড ফৌজদারি অপরাধের আওতায় পড়ে।”


বাদী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, “তিনটি সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কমিশনার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও গোয়েন্দা সংস্থার কতিপয় কর্মকর্তা একত্রিত হয়ে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করেন। দিনের ভোট রাতেই সম্পন্ন হয়েছে। এসব অপরাধের দায়ে আমরা ১৯ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছি।”


তিনি আরও জানান, “২০১৮ সালে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এবার বিএনপির মহাসচিব স্বাক্ষরিত নতুন চিঠিসহ আগের সব আলামত ও দলিল থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।”


কালের সমাজ//এসং.র.ন

Side banner
Link copied!