একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, রায়ের ফলে আজহারুল ইসলামের মুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা থাকছে না। আপিল বিভাগ রায়ে পূর্ববর্তী রায়ের বিভিন্ন প্রক্রিয়াগত অসঙ্গতির দিকে ইঙ্গিত করে বলেছে, অভিযোগের প্রমাণ যথাযথভাবে উপস্থাপন হয়নি।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামকে ৫টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও অন্যগুলোর জন্য বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে তিনি আপিল করেন।
এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিচার ইতিহাসে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো অভিযুক্ত আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলেন, যা আইনি মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আজহারুল ইসলামের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীরা এই রায়কে ‘বিচার বিভাগের সাহসী পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করলেও রাষ্ট্রপক্ষ এখনও রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পর্যালোচনা না করে মন্তব্য থেকে বিরত রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, রায়ের কপি হাতে পেলে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। তবে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এমন রায় নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :