ঢাকা রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

এনবিআরে চেয়ারম্যান অপসারণের দাবিতে টানা শাটডাউন কর্মসূচি চলছে

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৯, ২০২৫, ০১:০১ পিএম এনবিআরে চেয়ারম্যান অপসারণের দাবিতে টানা শাটডাউন কর্মসূচি চলছে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণ ও রাজস্ব খাত সংস্কারে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে রবিবার (২৯ জুন) টানা শাটডাউন এবং ‍‍`মার্চ টু এনবিআর‍‍` কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।


এদিন সকাল থেকে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের সব প্রবেশদ্বার বন্ধ রাখা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সশস্ত্র উপস্থিতিতে কেউ ভেতরে বা বাইরে যেতে পারছে না। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেই চলমান রয়েছে শাটডাউন কর্মসূচি।


আন্দোলনকারীদের হাতে ‘দফা এক, দাবি এক—চেয়ারম্যানের পদত্যাগ’, ‘আব্দুর রহমান খানকে রেখে কোনো আলোচনা নয়’সহ নানা প্রতিবাদী স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। ঢাকাসহ সারাদেশের কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর কার্যালয়গুলোতেও একইসঙ্গে শাটডাউন চলছে। ফলে এসব কার্যালয়ে কার্যত অচলাবস্থা বিরাজ করছে।


এক আন্দোলনকারী কর্মকর্তা বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে এনবিআর চত্বরে যুদ্ধাবস্থার মতো পরিবেশ। জলকামান মোতায়েন, সশস্ত্র প্রহরা, চেয়ারম্যান নিরাপত্তা নিয়ে অফিসে প্রবেশ করছেন আর আমরা বাইরে রোদে-বৃষ্টিতে আন্দোলন করছি। চেয়ারম্যান শুরু থেকেই সমস্যার সমাধানে আন্তরিক নন, বরং তিনিই পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছেন।”


এর আগে গতকাল এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে রোববারের শাটডাউন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।


অচলাবস্থা নিরসনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শুক্রবার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এনবিআর সংস্কার পরিষদের ডাকা কর্মসূচি প্রত্যাহার, বদলি আদেশ পুনর্বিবেচনা এবং আগামী মঙ্গলবার তিন পক্ষের আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে এনবিআর সংস্কার পরিষদের নেতারা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না, ফলে সংকট অব্যাহত রয়েছে।


গত ১২ মে সরকার এক অধ্যাদেশ জারি করে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে দুটি নতুন বিভাগ—‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’—গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকেই এনবিআরের কর্মকর্তারা বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।


প্রথম দফায় ২৬ মে পর্যন্ত কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি চললেও, পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যার ভিত্তিতে কর্মসূচি সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়। তবে চেয়ারম্যান অপসারণের দাবিতে ২৩ জুন থেকে দ্বিতীয় দফা আন্দোলনে নামেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁরা ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।


কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!