বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এ্যাড. কাজি রেজাউল হোসেন বলেন, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শ্রমিকসমাজ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখেন। জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জনে সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করেন হাসিমুখে। কিন্তু মালিক পক্ষ শ্রমিকের ন্যায্য মজুরী,মর্যাদা, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে উদাসীন। ঘন্টার পর ঘন্টা মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করলেও শ্রমিকের জীবদ্দশায় স্বচ্ছলতা আসেনা। বরং অপুষ্টির শিকার হয়ে তিলে তিলে ক্ষয়ে যান।
শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা ভুলুন্ঠিত করে কোন রাষ্ট্র,জাতি টিকে থাকতে পারে না। মানব সভ্যতা হুমকির মুখে পড়বে। মেহনতি জনতাই রাষ্ট্রের মূল মালিক। তাদের ঘামে গড়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া প্রাসাদ। জাতির স্বার্থে শ্রমিকের কল্যাণ,মানবিক কর্মপরিবেশ, ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্বের বিকাশ অতীব জরুরি।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল ১১ টায় রাজধানীর বাংলামটর মোড়ে অনুষ্ঠিত এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক কারো দাস নয়।
উন্নয়ন ও অগ্রগতির অংশীদার। অভারটাইমের নামে শোষণ ও দাস প্রথা বন্ধ, প্রত্যেক জেলায় শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা,আইএলও কনভেনশন অনুসরণ, ট্রেড ইউনিয়ন কার্যকর ও সময়োপযোগী শ্রম আইন প্রণয়ন,শ্রমিকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা,স্বতন্ত্র হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সেলিম রেজা বাচ্চুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাড. মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোর্শেদ, অর্থ সম্পাদক প্রভাষক মোস্তফা আনোয়ার রিপন,দপ্তর সম্পাদক তুষার রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্য শেষে বাংলামোটর মোড় থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে কারওয়ান বাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বাংলামটর মোড়ে এসে এসে শেষ হয়। সমাবেশের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত, নিহত শ্রমিকদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়েছে।
একালের সমাজ//এ.সং//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :