যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর নীতি বাস্তবায়ন করছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন । এবার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে অ্যাসাইলাম আবেদন প্রক্রিয়ায়। অ্যাসাইলাম আবেদন কার্যক্রম স্থগিত না করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকে ধীরগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন- যাতে দীর্ঘদিন কোনো সিদ্ধান্ত না আসলে আবেদনকারীরা গ্রিন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতাতেই পৌঁছাতে না পারেন।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কৌশলের মূল উদ্দেশ্য হবে নো ডিসিশন-নো গ্রিন কার্ড!
অবৈধ অনুপ্রবেশ নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি মিথ্যা আবেদনকারীদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে ট্রাম্প প্রশাসন অ্যাসাইলাম আবেদন নিষ্পত্তিতে ধীরে চলা নীতি অবলম্বন করতে চায়। মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলে আবেদনকারীরা কখনোই লিগ্যাল পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি বা গ্রিন কার্ডের দিকে অগ্রসর হতে পারবেন না।
এদিকে, দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। অভিবাসন নীতিমালায় পরিবর্তন এবং কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের কারণে আবেদন প্রক্রিয়া ধীর হয়ে গেছে, এছাড়া বাইডেন প্রশাসনের আমলে প্রবেশ করা শরণার্থীদের গ্রিন কার্ড আবেদনগুলো নতুন করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যা প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের বিলম্ব ঘটাচ্ছে। তবে যাদের অ্যাসাইলাম পেন্ডিং রয়েছে তাদেরকে ৫শ ৫০ ডলার দিয়ে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করে ওয়ার্ক পারমিট অনুমতি নেয়া যাবে। পূর্বে ৫ বছর পর্যন্ত সময় থাকলেও ট্রাম্প প্রশাসন ১৮ মাসে কমিয়ে এনেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় কিন্তু অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে অভিবাসীদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামরিক বিমানে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
সিনিয়র সাংবাদিক ও দেশ-এর সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, বর্তমান সময় অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সুখকর সময় নয়। যারা রাজনৈতিক আশ্রয় কিংবা মানবাধিকার কারণে যুক্তরাষ্ট্র এসে আবেদন করছেন তারা বিড়ম্বনায় পড়বেন।
অভিবাসী বিষয়ক সংস্থাগুলো বলছে, ইতোমধ্যে ইমিগ্রেশন আদালতে রেকর্ডসংখ্যক মামলা জটের মধ্যে নতুন এই ধীরগতি নীতিতে ফাইল আরও বাড়বে—যা আবেদনকারীদেরকে বছরের পর বছর অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেবে।
কালের সমাজ/এসআর


আপনার মতামত লিখুন :