অফিসে হাজিরা দিতে এক দিনও দেরি করেননি। উল্টে নির্ধারিত সময়ের আগেই কর্মক্ষেত্রে হাজির হতেন। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ানুবর্তিতার মাসুল গুনতে হল তাকে। নিয়মিত ভাবে ৪০ মিনিট আগে অফিসে পৌঁছোনোর কারণে তাকে বরখাস্ত করল লজিস্টিক সংস্থা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সোশাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়ায়।
জানা যায়, স্পেনের ২২ বছর বয়সি ওই লজিস্টিক কর্মী সকাল সাড়ে ৭টার বদলে নিয়মিত পৌনে ৭টা থেকে ৭টার মধ্যে অফিসে পৌঁছোতেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে সতর্কও করেছিলেন। ২০২৩ সাল থেকে ওই কর্মচারীকে তাড়াতাড়ি না আসার জন্য একাধিক বার সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিক সতর্কতার পরেও তিনি কমপক্ষে ১৯ বার তাড়াতাড়ি অফিসে এসে কর্মক্ষেত্রের নিয়মভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ। একই ‘ভুলের’ পুনরাবৃত্তি হওয়ায় বসের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। কর্মীকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন তিনি। সংস্থার মতে, ওই কর্মী ক্রমাগত তাড়াতাড়ি আসছেন। এর অর্থ হল, তিনি সংস্থার নির্দেশ উপেক্ষা করছেন।
বরখাস্ত কর্মী স্পেনের অ্যালিক্যান্টের সামাজিক আদালতে আপিল করেন। তার দাবি, বরখাস্তের নির্দেশ অন্যায্য।
আর আদালতে সংস্থা জানায়, একাধিকবার মৌখিক এবং লিখিত সতর্কবার্তা সত্ত্বেও তাড়াতাড়ি পৌঁছোনোর অভ্যাস অব্যাহত রেখেছিলেন কর্মী। ১৯ বার তাড়াতাড়ি হাজির হয়েছিলেন। বেশ কয়েকবার, তিনি অফিসে সশরীরে পৌঁছোনোর আগেই সংস্থার অ্যাপের মাধ্যমে লগ ইন করার চেষ্টা করেছিলেন। এছাড়া অনুমোদন ছাড়া সংস্থার একটি গাড়ির ব্যাটারি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে।
আদালত অবশ্য সংস্থার যুক্তিকেই সমর্থন করেছে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, সমস্যাটি কর্মীর অতিরিক্ত সময়ানুবর্তিতা নয়। কর্মক্ষেত্রের নিয়ম মেনে চলতে বার বার অস্বীকার করার জন্য তাঁর চাকরি গিয়েছে। ওই কর্মী স্পেনের শ্রমিক আইনকেও লঙ্ঘন করেছেন বলে জানান বিচারক।
কালের সমাজ/এসআর


আপনার মতামত লিখুন :