ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেন।
এদিকে, সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুমতি ছাড়া বদলি না করার জন্য মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসির সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এই চিঠি ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ প্রয়োজন। এজন্য সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগসহ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও আধা-স্বায়ত্বশাসিত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যথাযথ সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৬ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী নির্বাচনের কাজে সহায়তা প্রদান করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। নির্বাচনি কর্মকর্তারা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৩ নম্বর আইন) অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে, নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তাদের চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে কর্মরত থাকবেন। এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৪৪৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনি সময়সূচি ঘোষণার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন পর্যন্ত কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পূর্ব আলোচনার ছাড়া অন্যত্র বদলি করা যাবে না।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ তাদের দায়িত্ব আইন ও বিধি অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে পালন করবেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পূর্ব আলোচনার ছাড়া কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলি বা ছুটি না দেয়ার এবং নির্বাচনি দায়িত্ব ব্যাহত হবে এমন কাজে নিযুক্ত না করার নির্দেশনা নিশ্চিত করতে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৬ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৫ ও ৪৪৩ অনুচ্ছেদের আলোকে আপনাকে সবিনয় অনুরোধ করছি।
কালের সমাজ/এসএমআর


আপনার মতামত লিখুন :