সুস্থতা ধরে রাখতে প্রয়োজন সচেতনতা আর কিছু সহজ অভ্যাস। ব্যয়বহুল চিকিৎসা বা ওষুধের দিকে ঝুঁকে যাওয়ার আগে, দৈনন্দিন জীবনে সামান্য পরিবর্তন আনলেই শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, মৌলিক স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চললেই অনেক জটিল রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। নিচে তুলে ধরা হলো এমন ৫টি কার্যকর অভ্যাস, যা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে:
১. খাবারের পর অন্তত ১০ মিনিট হাঁটুন
প্রতিটি প্রধান খাবারের পর মাত্র ১০ মিনিট হাঁটা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি হজমশক্তি বাড়ায়, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং বিপাকক্রিয়া সক্রিয় রাখে। ব্যস্ততা থাকলেও এই অল্প সময়ের হাঁটাচলা সুস্থতার বড় চাবিকাঠি হতে পারে।
২. ওমেগা-৩ গ্রহণে সচেতন হোন
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগ, প্রদাহ এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্যামন, সার্ডিন, তিসি বীজ এবং আখরোটের মতো খাবার নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস হৃদরোগ প্রতিরোধ ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
৩. মানসম্পন্ন ঘুম নিশ্চিত করুন
প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়। পর্যাপ্ত ঘুম স্বাস্থ্যকর জীবনের অন্যতম মূলভিত্তি।
৪. প্লাস্টিক থেকে দূরে থাকুন
খাবার ও পানীয় সংরক্ষণে প্লাস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। এতে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ যেমন BPA ও ফথালেট হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে, যা ইনফার্টিলিটি, ক্যান্সারসহ নানা দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কাঁচ বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহার স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ।
৫. শরীরের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করুন
শুধু ওজন বা BMI নয়, বরং নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা যেমন LDL কোলেস্টেরল, ইনসুলিন লেভেল বা hs-CRP পর্যবেক্ষণ করলে শরীরের ভেতরের সুস্থতার চিত্র আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে আগাম সতর্কতা নেওয়া সম্ভব হয়।
জীবনধারায় ছোট পরিবর্তন এনে প্রতিদিন এই অভ্যাসগুলো পালন করলে ভবিষ্যতের বড় অসুস্থতা সহজেই এড়ানো সম্ভব। সুস্থ থাকতে এখনই শুরু করুন—অল্পে বেশির যত্ন।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :