আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব হার্ট দিবস। মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হৃদয় হলেও, আধুনিক জীবনযাত্রা ও অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কারণে এটি ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাই মানুষকে হৃদরোগ ও হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন করতে এই দিবসটি প্রতি বছর পালন করা হয়।
২০২৫ সালের বিশ্ব হার্ট দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—‘প্রতিটি হৃৎস্পন্দনের গুরুত্ব দিন’। দিবসটির মাধ্যমে সবাইকে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনধারা গ্রহণ ও নিয়মিত হার্ট চেকআপের প্রতি উৎসাহিত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২’ অনুযায়ী, দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদরোগ। দেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে এক জনের মৃত্যু ঘটে হৃদরোগে।
মোট মৃত্যুর ১৭.৪৫% ঘটে হার্ট অ্যাটাকে।
নানা ধরনের হৃদরোগে মারা যান মোট মৃত্যুর ৩.৬৭%।
মিলিয়ে দেশে ২১.১২% মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ, যা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির বড় সংকেত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে মৃত্যুর ৩১% হৃদরোগের কারণে ঘটে। বাংলাদেশেও হার্টের রোগী প্রতিনিয়ত বাড়ছে, এবং শিশু-কিশোররাও এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।
বিশ্ব হার্ট দিবস পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়—হৃদরোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্যসম্মত জীবনধারা, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্ব হার্ট ফেডারেশন ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতি ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস পালন করছে।
কালের সমাজ // র.ন
আপনার মতামত লিখুন :