বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ২০ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রেখেছে।
এর আগে, ২০২৪ সালের ১৬ মার্চ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানি শেষে এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে আবরার ফাহাদকে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নিহত আবরার তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
পরদিন চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ মামলা করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান বুয়েটের ২৫ ছাত্রকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ছাত্রশিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আবরারকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে হত্যা করা হয়।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় দেন বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, “নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা এ ঘটনা গোটা জাতিকে ব্যথিত করেছে।”
উল্লেখ্য, আবরার হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি যুগান্তকারী নজির হিসেবে এই রায়কে বিবেচনা করা হচ্ছে।
কালের সমাজ//এ.সং//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :