কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইসলামাবাদ ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে। ‘আব্দালি উইপন সিস্টেম’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘সিন্ধু মহড়া’র অংশ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি যাচাই, ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত ন্যাভিগেশন সিস্টেম ও গতিশীলতা পরীক্ষা করাই ছিল এই উৎক্ষেপণের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তারা এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর প্রযুক্তিগত সক্ষমতার ওপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন।
ভারত এই পদক্ষেপকে ‘গুরুতর উসকানি’ হিসেবে অভিহিত করেছে। দেশটির সরকারি সূত্রগুলো জানায়, এর মাধ্যমে সীমান্ত উত্তেজনাকে আরেক ধাপ বাড়িয়ে দিল পাকিস্তান।
পুলওয়ামার নিকটবর্তী পহেলগাঁওতে গত ২২ এপ্রিল একটি সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে ফের চরম উত্তেজনা শুরু হয়েছে। ভারত সন্দেহ করছে, এই হামলার সঙ্গে সীমান্ত পারের জঙ্গিদের যোগসূত্র রয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত তারা কোনো পাকা প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।
সন্ত্রাসী হামলার একদিন পর ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে, যেটি ছিল বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত। পরদিন পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দেয়, তারা প্রয়োজনে সিমলা চুক্তিও বাতিল করতে পারে এবং ভারতের আকাশসীমা বন্ধ করে দেবে।
২৯ এপ্রিল পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ দাবি করেন, “ভারত ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হামলা চালাতে পারে।” যদিও নির্ধারিত সময় পার হলেও পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়নি। একই দিনে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “যদি কিছু ঘটার থাকে, তা ২-৩ দিনের মধ্যেই ঘটবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। দুই দেশের কূটনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা একইসঙ্গে বাড়তে থাকায় এখন সবাই নজর রাখছে পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
কালের সমাজ//এ.সং//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :