ঢাকা সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞা ওষুধ প্রতিনিধিদের ওপর

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৫, ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞা ওষুধ প্রতিনিধিদের ওপর

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের আর সরাসরি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ থাকবে না। তাদেরকে ই-মেইলের মাধ্যমে ওষুধের তথ্য জানাতে হবে। এমনই সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। সোমবার (৫ মে) সকালে এই সুপারিশসহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয় কমিশন।


স্বাস্থ্যখাতে স্বচ্ছতা ও অনিয়ম রোধে গঠিত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসক ও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সরাসরি যোগাযোগে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও অর্থনৈতিক লেনদেনের ঝুঁকি রয়েছে। তাই ওষুধ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ইলেকট্রনিকভাবে পাঠানোর প্রক্রিয়া চালু করার আহ্বান জানানো হয়েছে।


প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘদিন ধরেই ওষুধ কোম্পানির প্রভাব ও চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে তার প্রতিফলন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই প্রেক্ষাপটেই কমিশন সাতটি নতুন আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো ‘ওষুধের মূল্য নির্ধারণ ও প্রবেশাধিকার আইন’।


এছাড়া একটি স্বাধীন ও স্থায়ী বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন গঠনেরও সুপারিশ করেছে কমিশন।

প্রস্তাবিত সাতটি আইন হলো:

বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন আইন
বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস আইন
প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা আইন
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন
ওষুধের মূল্য নির্ধারণ ও প্রবেশাধিকার আইন
অ্যালায়েড হেলথ প্রফেশনাল কমিশনার আইন
বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কমিশনার আইন
গত বছরের ১৭ নভেম্বর গঠিত এই কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান।


কমিশনের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, গবেষক, প্রশাসক ও এক মেডিকেল শিক্ষার্থীও। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত আইনের খসড়াগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসা খাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে।


কালের সমাজ//এ.সং//র.ন

Side banner