পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সূরায় জান্নাতের সৌন্দর্য ও জান্নাতিদের জন্য নির্ধারিত নেয়ামতের মনোমুগ্ধকর বর্ণনা এসেছে। বিশেষ করে সুরা ওয়াকিয়ায় আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের ভয়াবহতা, নেককারদের মর্যাদা, জান্নাত-জাহান্নামের বাস্তবতা এবং জান্নাতিদের জীবনযাপনের রূপ তুলে ধরেছেন।
এই সূরায় জান্নাতিদের বসার আসনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, তারা সোনার তার দিয়ে তৈরি, মণি-মুক্তা ও রত্নখচিত আসনে হেলান দিয়ে পরস্পরের মুখোমুখি হয়ে বসবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,“তারা বসবে স্বর্ণখচিত আসনে, পরস্পর মুখোমুখি হয়ে হেলান দিয়ে।” (সুরা ওয়াকিয়া)
অন্যত্র বলা হয়েছে, “উন্নত মর্যাদা সম্পন্ন শয্যা, প্রস্তুত থাকবে পানিপাত্র, সারি সারি উপাধান ও বিছানা গালিচা।” (সুরা আল-গাশিয়াহ, আয়াত ১৩–১৬)
“তারা হেলান দিয়ে বসবে মোটা রেশমের আস্তরণবিশিষ্ট বিছানায়, আর দুই উদ্যানের ফল হবে হাতের নাগালে।” (সুরা আর-রাহমান, আয়াত ৫৪)
“তারা শ্রেণীবদ্ধভাবে সজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে বসবে, আর আমি তাদের মিলন ঘটাব আয়তলোচনা হূরদের সঙ্গে।” (সুরা আত-তূর, আয়াত ২০)
এসব আয়াতে জান্নাতিদের জন্য আরামদায়ক, সম্মানজনক ও সৌন্দর্যে ভরপুর বসার পরিবেশের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তারা জান্নাতে হেলান দিয়ে ভাই-ভাইয়ের মতো বসে সুখ-শান্তিতে সময় কাটাবে।
এসব বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, জান্নাত শুধু পরকালের চূড়ান্ত পুরস্কারই নয়, বরং সেখানে প্রতিটি নেয়ামত হবে সৌন্দর্য, সম্মান ও প্রশান্তির এক অনুপম সংমিশ্রণ।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :