সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ২০ কোটি টাকা মূল্যের আধুনিক কার্ডিয়া ক্যাথ-ল্যাব মেশিন অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজ।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা ফোরামের আয়োজনে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে অংশ নেন চিকিৎসক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশাল অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও বছরের পর বছর অসংখ্য পদ শূন্য পড়ে আছে। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না।
এক বক্তা বলেন, “সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এই হাসপাতাল নির্মাণ করেছে, অথচ ডাক্তার-নার্স ও টেকনিশিয়ান না থাকায় অনেক বিভাগই কার্যত অচল অবস্থায়।”
বক্তারা আরও জানান, হাসপাতালের ২০ কোটি টাকায় কেনা আধুনিক ক্যাথ-ল্যাব মেশিন এখনো চালু হয়নি। এই যন্ত্রের মাধ্যমে হার্টের রোগীদের এনজিওগ্রাম ও রিং বসানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
কিন্তু সেটি চালু না করে ঢাকায় স্থানান্তরের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
“এটি সিরাজগঞ্জবাসীর প্রতি চরম অবিচার। এ অঞ্চলের হৃদরোগীরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন,”—বলেন সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা ফোরামের আহ্বায়ক ও ড্যাব জেলা সভাপতি ডা. আব্দুল লতিফ।
মানববন্ধন থেকে ৫ দফা দাবি জানানো হয়— শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব শূন্যপদ দ্রুত পূরণ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ। ২০ কোটি টাকার ক্যাথ-ল্যাব মেশিন অবিলম্বে চালু করা। হাসপাতালের অবকাঠামো ও সেবাখাতের উন্নয়ন।হাসপাতাল স্থানান্তর বা সরঞ্জাম সরানোর যে কোনো ষড়যন্ত্র রোধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
ডা. এম মুরাদ (অধ্যাপক, সার্জারি বিভাগ), মির্জা মোস্তফা জামান (জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক), খোরশেদ আলম মিন্টু (ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক), জিন্না সরদার (সহ-প্রচার সম্পাদক), আসলাম উদ্দিন (জেলা বিএনপির সদস্য), নিয়ামুল হাকিম সাজু (সাবেক শ্রমিক দল সাধারণ সম্পাদক), ডা. আব্দুল আজিজ, ডা. চুমকি প্রমুখ।
কালের সমাজ/ সাএ


আপনার মতামত লিখুন :