মানি লন্ডারিং বাংলাদেশের জাতীয় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি দেশের আইনশৃঙ্খলা, আর্থিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক শৃঙ্খলার জন্য বড় হুমকিস্বরুপ। তাই অর্থ পাছার প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ময়মনসিংহ জেলার ব্যাংক কর্মকর্তাদের নিয়ে `মানি লন্ডারিং প্রিভেনশন এবং কমব্যাটিং ফাইন্যান্সিং অফ টেরোরিজম` শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং পূবালী ব্যাংক পিএলসি।
পূবালী ব্যাংক ময়মনসিংহ অঞ্চলের ডিজিএম ও রিজিওনাল ম্যানেজার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফআইইউ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডেপুটি হেড মো. আমির উদ্দীন।
রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ-এর অতিরিক্ত পরিচালক মো. ইমতিয়াজ হারুণ ও মো. আসাদুজ্জামান খান এবং সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পূবালী ব্যাংকের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং বিভাগের প্রধান মো. ফয়সাল আহমেদ। কর্মশালায় ময়মনসিংহ জেলার ৪৫ টি ব্যাংকের ১০৯ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় মানি লন্ডারিংয়ের ধারণা, ব্যাংকারদের ভূমিকা এবং এটি প্রতিরোধের উপায় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি অর্থনৈতিক লেনদেন সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
পূবালী ব্যাংকের ময়মনসিংহ অঞ্চলের ডিজিএম মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকারদের দৈনন্দিন কাজের সঙ্গে মানি লন্ডারিং জড়িত। তাই সচেতনতা ও সতর্কতা সবার জন্য অপরিহার্য। অবৈধ লেনদেন বন্ধ করতে হলে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় রিপোর্ট করতে হবে। দেশের সুষ্ঠু ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য এটি আমাদের দায়িত্ব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএফআইইউ-এর ডেপুটি হেড মো. আমির উদ্দীন বলেন, `আমাদের অনেকেই নিরাপদ আর্থিক লেনদেনের খুঁটিনাটি বিষয় জানি না। দেশ আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। তবে আগস্টের পর ব্যাংকারদের পদক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন আর কোনো প্রভাবশালী মহলের অযাচিত হস্তক্ষেপ নেই, আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছি।`
তিনি আরও বলেন, `জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সাহসী ভূমিকার ফলে আমরা আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। একসময় যেখানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে এসেছিল ১৬ বিলিয়ন ডলারে, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন ডলারে।`
কালের সমাজ/ সাএ

                                                
            
         
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                    
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
          
আপনার মতামত লিখুন :