২০২৫ সালের জুন মাসে করোনা ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। মৃত্যুর পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ে, ফলে চাপে পড়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২২ জন এবং ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে—যা এ বছরের মধ্যে এক মাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
ডেঙ্গু সংক্রান্ত মাসভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়: জানুয়ারি: ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১,১৬১ জন, ফেব্রুয়ারি: ৩ জনের মৃত্যু, ভর্তি ৩৭৪ জন, মার্চ: মৃত্যু নেই, ভর্তি ৩৩৬ জন, এপ্রিল: ৭ জনের মৃত্যু, ভর্তি ৭০১ জন, মে: ৩ জনের মৃত্যু, ভর্তি ১,৭৭৩ জন, জুন: সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যু, ভর্তি ৫,৯৫১ জন ।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১০,২৯৬ জন, এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৯,০৮৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৪২ জন।
অন্যদিকে, করোনার সংক্রমণ আবারও বেড়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় আইসিডিডিআরবি জানায়, জুনে সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে নতুন দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট—XFJ এবং XFC—গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এগুলো ওমিক্রনের JN.1 শাখার অন্তর্গত।
জুনের প্রথম ১০ দিনে বিশ্লেষণ করা ১৪টি নমুনার মধ্যে ১২টিতেই এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
এ মাসে ১,৪০৯টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ১৩৪ জনের দেহে এবং মৃত্যু হয় ২২ জনের—যারা সবাই জুন মাসেই মারা যান।
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৫২ হাজার ৯৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২১ জনের।
করোনার নতুন ধরনটির সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও বর্তমানে তীব্রতা তুলনামূলকভাবে কম। তবে সচেতন না হলে এটি দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সাবধানতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
কালের সমাজ//এসং//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :