আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নিবন্ধন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (১২ মে) রাতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে দুপুরেই দলটির যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলাসমূহ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ ও তার সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, ধর্ষণ, নির্যাতনসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বিচার চলছে। এ প্রেক্ষাপটে দলটির যেকোনো সভা, মিছিল, প্রচারণা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার ও সংগঠনিক কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এবং নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন স্থগিতাদেশও একই মেয়াদে বহাল থাকবে বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এটি একটি যুগান্তকারী মোড়।
কালের সমাজ//এ.স//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :