ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেতাইদুর্গাপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আরিফুল ইসলাম দেখিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশেও মিষ্টি ও সুস্বাদু আঙ্গুর চাষ করে সফল হওয়া সম্ভব।
২০২৩ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সবুজ জাতের ১০টি চারা রোপণের মাধ্যমে শুরু করেন আঙ্গুর চাষ। ভালো ফলন ও বাজারে ইতিবাচক সাড়া পেয়ে পরের বছর তিনি ১৭ শতক জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুরের আবাদ শুরু করেন।
ভারত ও চীন থেকে আনা ১শ’টিরও বেশি চারা রোপণ করে গড়ে তুলেছেন একটি সুসজ্জিত আঙ্গুর বাগান। তার বাগানে রয়েছে একুলো, বাইকুনুর, ব্লাক ম্যাজিক, ভেলেজ সিলভাসহ নানা জাতের আঙ্গুর। মাত্র ৮ মাসের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করে।
বাগান দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন। দর্শনার্থীরা জানাচ্ছেন, বাগানের আঙ্গুর বাজারের আঙ্গুরের চেয়েও বেশি সুস্বাদু। গাছ থেকে সরাসরি খাওয়ার অভিজ্ঞতা নতুন ও আনন্দদায়ক। অনেকেই জানাচ্ছেন, আঙ্গুর চাষকে এত সহজ ও লাভজনক ভাবেননি আগে, এখন নিজেরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
আরিফুল বলেন, “প্রতি গাছে ১০ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত ফলন আশা করছি। যদি দেশেই মিষ্টি আঙ্গুর উৎপাদন বাড়ে, তাহলে আমদানি কমে যাবে এবং ভবিষ্যতে রপ্তানির সুযোগও তৈরি হবে।”
কৃষি বিভাগ জানায়, আঙ্গুর চাষে আরিফুলের সাফল্য দেখে অন্যান্য কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-এ-নবী ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, আঙ্গুর চাষে মাটি ও জলবায়ু অনুকূল থাকায় এ এলাকায় আরও সম্প্রসারণ সম্ভব। কৃষককে জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
এই সাফল্য দেশের ফল উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কালের সমাজ//এ.সং//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :