খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য ও কয়রা উপজেলা বিএনপির জনপ্রিয় নেতা এম এ হাসানের বিরুদ্ধে একটি নামসর্বস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনি ইতোমধ্যে কয়রা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। যার নম্বর ৪৩৬, তারিখ ১১ জুলাই ২০২৫।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, এম এ হাসান দীর্ঘদিন ধরে কয়রা উপজেলা বিএনপির একনিষ্ঠ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক এই নেতা বর্তমানে খুলনা জেলা বিএনপির একজন প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে পরিচিত। দলীয় সংকটের সময়ও তিনি রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রেখে কয়রার রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী বিএনপি সংগঠন গড়ে তুলেছেন।
তার জনপ্রিয়তা দেখে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই একটি বেনামী ফেসবুক আইডি থেকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন এম এ হাসান।
তিনি বলেন, “আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। আমি কোনো প্রকার দখল, লুটপাট কিংবা কারও কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের সাথে জড়িত নই। আমার ব্যবসায়িক আয়ের মাধ্যমেই সংসার চলে। কোনো সিন্ডিকেট বা অবৈধ চক্রের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “অপপ্রচারে বলা হয়েছে আমার আত্মীয়স্বজন আওয়ামী লীগ করে, তাই আমি তাদের সুবিধা ভোগ করেছি। বাস্তবতা হলো, আমি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কখনো কোনো সুবিধা গ্রহণ করিনি; বরং সেই সময় বহুবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছি এবং মিথ্যা মামলায় কারাভোগও করতে হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিএম ইমদাদুল হক বলেন, “বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কালের সমাজ//এসং.র.ন
আপনার মতামত লিখুন :