ফরিদপুরে হাঁস পালন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে উন্নত জাতের “পিকিং স্টার ১৩” হাঁস। মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যেই এই হাঁসের ওজন সাড়ে তিন থেকে চার কেজি পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে, যা খামারিদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ও ঝুঁকিমুক্ত এক বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো—এই হাঁস পালনযোগ্য সম্পূর্ণভাবে পানি ছাড়া, সাধারণ মুরগির শেডেই। ফলে বাড়তি অবকাঠামো বা জলাশয় না থাকলেও হাঁস পালন এখন সম্ভব হচ্ছে।
ফরিদপুর সদরের একজন খামারি জানান, “আমরা জানতামই না যে পানি ছাড়া হাঁস পালন সম্ভব। এসডিসি থেকে পাওয়া ৫০টি হাঁস দিয়ে শুরু করেছিলাম, এখন বড় খামার গড়ার স্বপ্ন দেখছি।”
এই সফলতার পেছনে ভূমিকা রেখেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি)। তারা জেলার অন্তত ২৫ জন খামারিকে বিনামূল্যে হাঁসের বাচ্চা, খাদ্য, ভ্যাকসিন ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।
এসডিসি-র এনিমেল রিসোর্সেস অফিসার ডা. মো. রবিউল ইসলাম সজীব জানান, “দেশে আমিষের চাহিদা বাড়ছে। আমরা খামারিদের স্বাবলম্বী করতে এবং চাহিদা পূরণে এই জাতের হাঁস পালনের প্রচলন ঘটিয়েছি।”
প্রশংসা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগও। ফরিদপুরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, “ভোজনরসিকদের কাছে হাঁসের মাংসের চাহিদা বাড়ছে। আমরা খামারিদের বাজার খুঁজে দিতে স্থানীয় রেস্টুরেন্টের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করছি।”
এই উদ্যোগ ফরিদপুরের হাঁস পালন খাতে নতুন গতিসঞ্চার করেছে। “পিকিং স্টার ১৩” এখন শুধু উন্নত জাতের হাঁস নয়, বরং গ্রামীণ অর্থনীতির একটি সম্ভাবনাময় অধ্যায় হয়ে উঠছে।
কালের সমাজ/বি.ফ./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :