গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭৮ জন ফিলিস্তিনি। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। কোথাও নেই নিরাপত্তা, দিনভর চলছে আকাশ ও স্থল থেকে তাণ্ডব। সঙ্গে দুর্ভিক্ষ ও চরম মানবিক সংকট মিলিয়ে গাজা পরিণত হয়েছে মানব বসবাসের অযোগ্য এক এলাকায়।
রবিবার (৬ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গত একদিনে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার খান ইউনিস, নুসেইরাত ও গাজা সিটিসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে।
এমন এক সময়ে হামলা চলছে যখন যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ৬০ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও হামলা থামানোর বদলে আরও তীব্রভাবে আঘাত হানছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাবে হামাস কিছু সংশোধনের অনুরোধ জানিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে কী ধরনের সংশোধনের কথা বলা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে, ৫ জুলাই হামাস জানায়, তারা মধ্যস্থতাকারীদের যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। তবে তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে, যে কোনো সমঝোতায় গাজার ওপর ইসরায়েলি হামলা স্থায়ীভাবে বন্ধের নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের শুরু করা হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭ হাজার ৩৩৮ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৫৭ জনের বেশি।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা বারবার ইসরায়েলকে গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :