আজ ১০ মহররম, মুসলিম উম্মাহর কাছে এক গৌরবময়, শোকাবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন—পবিত্র আশুরা। এই দিনে কারবালার প্রান্তরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) ও তাঁর পরিবার নির্মমভাবে শহীদ হন। মুসলিমরা দিনটি পালন করেন গভীর শ্রদ্ধা, ভাবগাম্ভীর্য ও আত্মত্যাগের স্মৃতিচারণে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় আশুরা উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচি পালন করে থাকে। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। বিশেষত, তাজিয়া মিছিল ঘিরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা।
২ জুলাই জারিকৃত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তাজিয়া মিছিলে দা, ছুরি, তলোয়ার, বল্লম, লাঠিসহ যেকোনো ধরনের বিপজ্জনক বস্তু বহন নিষিদ্ধ। এই আদেশ কার্যকর থাকবে মিছিলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ সরওয়ার।
আশুরা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগ ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ উদাহরণ। তাঁর মতে, বর্তমান দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কারবালার চেতনা অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আশুরার শিক্ষা তুলে ধরে বলেন, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য এই দিন আমাদের শক্তি জোগায়। ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মদানের আদর্শ মানবতার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আশুরার দিনটি শুধু কারবালার শোকগাথা নয়, বরং ইসলামে এটি একটি ফজিলতপূর্ণ দিন হিসেবেও গণ্য। নবী করিম (সা.) এই দিনে রোজা পালন করতেন এবং তাঁর অনুসারীদেরও তা পালনের তাগিদ দিয়েছেন।
এদিন মুসলমানরা রোজা, দোয়া, ইবাদত এবং দান-খয়রাতের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের অনুপ্রেরণায় আশুরা পালন করেন। শিয়া সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সুন্নি মুসলমানরাও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিবসটি পালন করে থাকেন।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :