রাজধানীর পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগকে পাথর ছুড়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় ছাত্রদল নেতা তারেক রহমান রবিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ গিয়াসের আদালতে স্বেচ্ছায় এই জবানবন্দি দেন রবিন। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা গেছে, রবিন ঢাকার চকবাজার থানার আওতাধীন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রবিনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা। রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ঘটনাটি ঘিরে কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়—একটি হত্যা, অপরটি অস্ত্র আইনে। মাহমুদুল হাসান মহিনকে হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে এবং রবিনকে অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে মো. সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ রবিন ও মহিনকে আটক করে।
নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারির ব্যবসা করতেন।
এদিকে, হত্যার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। অনেকেই এই নির্মম ঘটনার কঠোর বিচার দাবি করেন।
কালের সমাজ//এসং.র.ন
আপনার মতামত লিখুন :