ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের বিধ্বস্তের কারণ জানালো তদন্ত সংস্থা

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১২, ২০২৫, ১০:৪৮ এএম এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের বিধ্বস্তের কারণ জানালো তদন্ত সংস্থা

আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমান দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছে ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো। গত ১২ জুনের ওই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়। বিমানটি একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে বিধ্বস্ত হলে বহু মানুষ হতাহত হন। বিমানে থাকা ২৪২ যাত্রীর মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে যান।


দুর্ঘটনার তদন্তে পাওয়া প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানের জ্বালানি সরবরাহ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ইঞ্জিন নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এ তথ্য ব্ল্যাকবক্স বিশ্লেষণের মাধ্যমে পাওয়া গেছে।


তদন্তকারীদের মতে, বিমানটির জ্বালানি সরবরাহ নিয়ন্ত্রণকারী দুটি সুইচ এক সেকেন্ডেরও কম ব্যবধানে "রান" থেকে "কাট অফ" অবস্থায় চলে যায়, যার ফলে ইঞ্জিনে জ্বালানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় বিমানের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৮০ নটিক্যাল মাইলের কাছাকাছি।


ব্ল্যাকবক্সের অডিও রেকর্ডিংয়ে ধরা পড়ে, এক পাইলট অপর পাইলটকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কেন জ্বালানির সুইচ বন্ধ করেছেন। উত্তরে অপর পাইলট জানান, তিনি সুইচ বন্ধ করেননি। এর পরপরই সুইচগুলো পুনরায় চালু করা হয় এবং ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ আবার শুরু হয়। কিন্তু তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়।


উল্লেখ্য, বোয়িং ৭৮৭ বিমানের জ্বালানি সুইচগুলো দুই পাইলটের আসনের মাঝামাঝি, থ্রটল লিভারের নিচে অবস্থান করে এবং ‘কাট অফ’ নামে পরিচিত। এসব সুইচ ধাতব নিরাপত্তা কাঠামোর মধ্যে থাকে, যাতে দুর্ঘটনাবশত বন্ধ হয়ে না যায়। সুইচে লকিং সিস্টেম থাকলেও কীভাবে দু’টি সুইচ একই সময়ে বন্ধ হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিমানে কোনো কারিগরি ত্রুটি ছিল না এবং ব্যবহৃত জ্বালানির মানও উপযুক্ত ছিল। ফলে মূল কারণ হিসেবে জ্বালানি সরবরাহের হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়াকেই চিহ্নিত করেছে তদন্তকারীরা।


কালের সমাজ//এসং.র.ন

Side banner
Link copied!