ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

২৯৭ কোটি আত্মসাতের মামলায় কারাগারে ড. আবুল বারকাত

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১১, ২০২৫, ০৫:০১ পিএম ২৯৭ কোটি আত্মসাতের মামলায় কারাগারে ড. আবুল বারকাত

২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (১২ জুলাই) ঢাকার একটি আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রিমান্ড আবেদন ও আসামিপক্ষের জামিন আবেদন পরবর্তী শুনানির জন্য মুলতবি রাখা হয়েছে।

 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “ড. আবুল বারকাতের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে দুদক। আসামিপক্ষ জামিন আবেদন করলে আদালত রিমান্ড ও জামিন উভয় আবেদনের শুনানি পরবর্তী তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।”

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাকে দুদকের হেফাজতে হস্তান্তর করা হয় এবং আদালতে তোলা হয়।

 

উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এননটেক্স গ্রুপের নামে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন।

 

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন:

  • বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান

  • সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান

  • সাবেক সহকারী পরিচালক মোছা. ইসমত আরা বেগম

  • জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, ড. আর এম দেবনাথ, নাগিবুল ইসলাম দীপু, মো. ইমদাদুল হক, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ, অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র নাথ

  • জনতা ব্যাংকের সাবেক এমডি ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ,

  • সাবেক ডিএমডি গোলাম ফারুক,

  • উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক,

  • উপ-মহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, আব্দুল জব্বার,

  • এজিএম অজয় কুমার ঘোষ,

  • কর্পোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. গোলাম আজম,

  • নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান,

  • এসইও মো. এমদাদুল হক।

এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে:

  • এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল

  • মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন

  • পরিচালক মো. আবু তালহা।

 

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া রেকর্ড তৈরি করে জনতা পিএলসির ভবন শাখা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। মামলায় মানি লন্ডারিং, জালিয়াতি, প্রতারণা, ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

কালের সমাজ//এসং.র.ন

Side banner
Link copied!