ফরিদপুর পাসপোর্ট অফিস থেকে তিনজন রোহিঙ্গা এবং তাদের সহায়তায় জড়িত দুইজন দালালকে আটক করা হয়েছে। রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে ফরিদপুর পাসপোর্ট অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন—
ক) মো. তৈয়বুর রহমান (২৯), পিতা: রহমত উল্লাহ,
খ) আব্দুস সোবহান (৬২), পিতা: মৃত আবুল বাশার,
গ) হাসিনা বেগম (৫২), স্বামী: আব্দুস সোবহান।
তারা সবাই কক্সবাজার সদর উপজেলার মরিগোনা রেংগুট এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
স্থানীয় দালালদের সহায়তায় তারা ফরিদপুরে এসে পাসপোর্ট করার চেষ্টা করছিলেন। ওই দুই দালাল হলেন—
ক) মো. রাশেদ খান (২৫), পিতা: আব্দুল হান্নান খান, গ্রাম: কুঠিবাড়ি,
খ) সিয়াম আহমেদ (২৭), পিতা: মোতালেব মিয়া; উভয়ের বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলায়।
সূত্রে জানা যায়, দালালদের সঙ্গে প্রায় ৩০ হাজার টাকায় পাসপোর্ট তৈরির চুক্তি হলেও রোহিঙ্গারা মাত্র ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে দালাল রাশেদ খান অতিরিক্ত দেড় লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রাশেদ খান তাদের মারধর করে আনসার সদস্যদের হাতে তুলে দেন।
আটক আব্দুস সোবহান দাবি করেন, তিনি ও তার স্ত্রী জন্মগতভাবে বাংলাদেশি। তাদের দুই ছেলে দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে বসবাস করেন। ওমরাহ হজ পালন ও ছেলেদের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তারা পাসপোর্ট তৈরির উদ্যোগ নেন। কক্সবাজারের ভোটার না হওয়ায় তারা ফরিদপুরে এসে দালাল চক্রের সহায়তায় পাসপোর্ট করতে আসেন। তাদের সঙ্গে ছিল মেয়ের জামাই মো. তৈয়বুর রহমান।
ফরিদপুর জেলা পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক আবু নাঈম মাসুম জানান, আটককৃতদের উপস্থাপিত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ভুয়া। প্রাথমিক যাচাইয়ের পর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় ফরিদপুর পাসপোর্ট অফিস ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত করছে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :