ঢাকা সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

শহীদ জিয়া ও তারেক রহমানকে অবমাননার ঘটনায় ইবিতে উত্তাল বিক্ষোভ

কালের সমাজ | ইবি প্রতিনিধি জুলাই ১৪, ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম শহীদ জিয়া ও তারেক রহমানকে অবমাননার ঘটনায় ইবিতে উত্তাল বিক্ষোভ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান এবং গুপ্ত সংগঠনের মাধ্যমে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টার প্রতিবাদে র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা এসময় সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

 

সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান নেতৃত্বে অনুষদ ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে জিয়া পরিষদ, ইউট্যাব ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমবেত হয়।

 

মিছিলে নেতাকর্মীরা জিয়ার সৈনিক, এক হও লড়াই করো; জামাত শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়; দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার; রাজাকার আর স্বৈরাচার মিলেমিশে একাকার; স্বৈরাচার গেছে যেই পথে, রাজাকার যাবে সেই পথে; একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; বাংলাদেশের অপর নাম, জিয়াউর রহমান ইত্যাদি স্লোগান দেন।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, ইবির জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের বিএনপিপন্থি শিক্ষক কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম ৫ আগস্টের পর একটি সুন্দর বাংলাদেশ। কিন্তু বর্তমান সরকারের দোসর এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মিলে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। পাকিস্তানি চক্র ও বটচক্র দেশনায়ক তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন ভাষায় গালাগালি করছে। তাদের আসল ঠিকানা বাংলাদেশ নয়, বরং দিল্লি ও পাকিস্তান।’

 

সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং তারেক রহমানকে দেশের কোটি মানুষ ভালোবাসে। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করছে, তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের শত্রু। যদি তারা কুরুচিপূর্ণ আচরণ থেকে বিরত না হয়, তবে আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাবে।’

 

জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ছবিতে পদাঘাতের ভিডিও এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এটি শুধু জিয়া পরিবার নয়, সমগ্র জাতির প্রতি অপমান। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দ্রুত এসব বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা কঠোর জবাব দিতে বাধ্য হব।’

 

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!