বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের মংখয় (খিয়াং) পাড়ায় গৃহবধূ চিংমা খোয়াংকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে বুধবার ৭ মে বিকেল ছয়টায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পরিবহন মার্কেট চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্মৃতিফলকের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা “আছিয়া থেকে চিংমা, খুন ধর্ষণ আর না”, “পাহাড় থেকে সমতলে, লড়াই হবে সমানতালে”, “ধর্ষণ-হত্যার বিচার চাই”, “এক দেশে দুই নীতি মানি না” ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকারই পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। তারা বলেন, প্রতিটি সরকার পাহাড় ও সমতলের জন্য ভিন্ন নীতি বজায় রেখেছে, যা রাষ্ট্রের বৈষম্যমূলক চরিত্রকে তুলে ধরে।
রাবি ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার বলেন, “মুজিব থেকে শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার পর্যন্ত কেউ পাহাড়িদের অধিকার নিশ্চিত করেনি। রাষ্ট্র আদিবাসীদের তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক বানিয়ে রেখেছে। আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুক।”
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট রাবি শাখার আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, “নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক মানসিকতা থেকেই এসব ঘটনা ঘটছে। রাষ্ট্র একদিকে মব বাহিনীর দাবি মেনে নিচ্ছে, অন্যদিকে আদিবাসীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে আবার ফ্যাসিবাদী শাসনের উত্থান ঘটবে।”
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাবি শাখার সভাপতি শামীন ত্রিপুরা বলেন, “পাহাড়ে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়, বরং এগুলো পরিকল্পিত নিপীড়নের অংশ। সরকার আদিবাসীদের এক অদৃশ্য কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। পাহাড় ও সমতলে অভিন্ন নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।”
কালের সমাজ//এ.সং//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :