কয়েক বছর ধরে কিডনি রোগে ভুগছেন দেওয়ান মাসরুর রিজনের বাবা। চিকিৎসার একটি পর্যায়ে যখন রক্তের প্রয়োজন দেখা দেয়, তখন তিনি ছুটে আসেন রাজধানীর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ব্লাড ল্যাবে। রক্তের জন্য এসেই তিনি জানলেন—তার বাবার এক যুগ আগে করা একটি মানবিক কাজ আজ তাদের জন্য জীবন বাঁচানোর উপায় হয়ে উঠেছে।
রিজন জানান, ২০১২ ও ২০১৩ সালে তার বাবা কোয়ান্টাম ব্লাড ল্যাবে গিয়ে রক্তদান করেছিলেন। সেই তথ্য সংরক্ষিত থাকায় এখন, প্রায় ১২ বছর পর, তার বাবার জন্য রক্ত পাওয়া সহজ হয়েছে। “আমি নিজে কোয়ান্টামে এসে রক্ত সংগ্রহ করলাম। এখানে আমাকে কোনো প্রসেসিং চার্জ দিতে হয়নি। পুরো প্রক্রিয়ায় আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে,”—বলছিলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “এখানে এসে আমি নিজ চোখে দেখেছি, প্রতিদিন অনেক মানুষ রক্তের জন্য আসে। আমাদের সমাজে রক্তের চাহিদা অনেক, কিন্তু জোগান তুলনামূলকভাবে কম। যদি আমরা সবাই মিলে এগিয়ে আসি, নিয়মিত রক্তদান করি, তাহলে রক্তের ঘাটতির সমস্যা আর থাকবে না।”
মানবিক এই অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মাসরুর রিজন আহ্বান জানিয়েছেন সবার প্রতি। তিনি বলেন, “আপনারা আসুন, কোয়ান্টাম ব্লাড ল্যাবে রক্ত দিন। এক সময় আপনি বা আপনার প্রিয় কেউ হয়তো এই রক্তেই ফিরে পাবে জীবনের নিশ্চয়তা। আমি পেয়েছি, আশাকরি আপনিও পাবেন।”
উল্লেখ্য, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে দেশজুড়ে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহ দিয়ে আসছে। শুধু রাজধানীতেই নয়, সারা দেশেই তাদের ব্লাড ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। রোগী ও তার স্বজনদের পাশে দাঁড়াতে নিরলসভাবে কাজ করছে এই মানবিক সংগঠনটি।
কালের সমাজ/ রা. প্র./ সাএ
আপনার মতামত লিখুন :