সত্যের প্রতি অটল বিশ্বাস ও সৎ চরিত্রের ভিত্তিতে সোনারগাঁ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রমে নতুন গতি ও স্বচ্ছতা এনেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা রহমান। যোগদানের পর থেকে তার পরিশ্রম ও জনবান্ধব মনোভাব উপজেলা পরিষদসহ সরকারি-বেসরকারি সব দপ্তরের কাজকর্মে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
ফারজানা রহমানের নেতৃত্বে সোনারগাঁয় সরকারি সেবা আরও গতিশীল ও জনগণমুখী হয়েছে। জনভোগান্তি কমেছে, সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের প্রতিটি বিভাগে স্বচ্ছতা ও দায়িত্বপরায়ণতার চিত্র স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
ইউএনও ফারজানা রহমান যে কোনো অনিয়ম বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার। নাগরিকদের অভিযোগ তিনি দ্রুত যাচাই করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। ফেসবুক, ফোন বা সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে মানুষ যে কোনো সমস্যা জানালে তা সমাধানে তার তৎপরতা প্রশংসিত। সুবিধাবঞ্চিত ও দুর্বল মানুষের জন্য তিনি বিশেষ মনোযোগী।
উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় নিয়মিত কাজ পরিদর্শন করেন তিনি। ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ ও পারিবারিক জটিলতায় ছাড় নেই। উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্যবর্ধন, সেবা প্রদান, রাস্তা ও অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন—সব ক্ষেত্রেই তার প্রভাব লক্ষ্যণীয়। শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিদ্যালয় ও কলেজগুলোর কার্যক্রমে নিয়মিত নজরদারি করেন।
তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তিনি তাদের জন্য আইডল হিসেবে পরিচিত। জন্মনিবন্ধন ও জরুরি সেবায় সরকারি ফি’র অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া বন্ধ করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া সরকারি সম্পত্তি রক্ষা ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় তার উদ্যোগে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে।
উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরু মোহাম্মদ বলেন, “সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে ইউএনও অসাধারণ মানবিক ও পেশাদারিত্বপূর্ণ কাজ করছেন। তার সততা ও আন্তরিকতা উপজেলা জনসাধারণকে মুগ্ধ করেছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, “সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সবসময় চেষ্টা করি মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে। সোনারগাঁয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাব এবং দায়িত্ব পালনে স্থানীয় প্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা চাই।”
ফারজানা রহমানের কর্মদক্ষতা ও জনবান্ধব মনোভাব সোনারগাঁয় প্রশাসনিক সেবা ও জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
কালের সমাজ // র.ন
আপনার মতামত লিখুন :