রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন বাতিলের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পেন্ডিং থাকা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি ১৩ মে অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (৭ মে) সকালে আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ এই তারিখ ধার্য করেছেন।
জানা যায়, ২০০৯ সালে ২৫ জন রিটকারীর হয়ে রিট দায়ের করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করলে, আপিল বিভাগ ১৯ নভেম্বর ২০২৪ সালে আপিলভুক্ত আবেদনে শুনানি না হয়ে ডিসমিসড ফর ডিফল্ট আদেশ দেন। পরে দলটি দেরি মার্জনা (স্লিপেজ) আবেদনের মাধ্যমে রায় পুনরুজ্জীবিত চেয়েছিল এবং ২২ অক্টোবর ২০২৪ সালে সেই আবেদনে শুনানি মঞ্জুর হয়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরবর্তী বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালের ১ আগস্ট একই প্রজ্ঞাপন দ্বারা দল ও এতে সংযুক্ত ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করলেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার সেই প্রজ্ঞাপন তুলে নেয়।
শনিবারের (১৩ মে) শুনানিতে আপিলকারীর আইনজীবী শিশির মনির উপস্থিত থেকে দাখিলকৃত আপিলের বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করবেন। বেঞ্চ শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর অথবা রায় বহালে সিদ্ধান্ত জানাবেন। দলের নিবন্ধন ফিরে পেলে, আগামী নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জামায়াত অংশগ্রহণের পথ সুগম হবে বলে আইনজ্ঞরা মনে করছেন।
কালের সমাজ//এ.সং//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :