আজাদ কাশ্মিরসহ পাকিস্তানের নয়টি স্থানে মধ্যরাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ জনে এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫ জন। পাকিস্তানের দাবি, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল বেসামরিক অবকাঠামো, যার মধ্যে অন্তত দুটি মসজিদও রয়েছে।
বুধবার (৭ মে) সকালে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, মিসাইল হামলায় কোটলির মসজিদ-ই-আব্বাসে এক কিশোরী ও এক যুবক নিহত হন। আহত হন এক নারী ও তার মেয়ে। আরেকটি হামলা হয় মুরিদকেতে একটি মসজিদে, যেখানে একজন নিহত এবং একজন আহত হন। মুরিদকে শহরে মোট চারটি হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে দুটি নাগরিক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর।
সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ বলেন, “ভারতীয় বাহিনী মসজিদ, চিকিৎসাকেন্দ্র এবং আবাসিক ভবনসহ বেসামরিক এলাকাগুলোকে সরাসরি লক্ষ্য করেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।”
শরীফ আরও জানান, শিয়ালকোটের কোটলি লোহারান গ্রামে একটি গোলা পড়লেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। অন্য আরেকটি গোলা জনবসতিহীন স্থানে বিস্ফোরিত হয়েছে। শকরগড় অঞ্চলে ভারতীয় হামলায় একটি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, যেগুলোর লক্ষ্য ছিল ছয়টি স্থানে।
আইএসপিআর জানায়, হামলার প্রকৃত চিত্র প্রকাশে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে নিয়ে যাওয়া হবে, যাতে তারা ভারতের "স্পষ্ট আগ্রাসন" প্রত্যক্ষ করতে পারে।
কালের সমাজ//এ.সং//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :