রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলায় রতনদিয়া বাজারে তিনটি দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।মঙ্গলবার (১৩ মে) ভোর ৬ টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী প্রচেষ্টায় সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে কালুখালী ফায়ার সার্ভিস। অগ্নিকাণ্ডে তিনটি দোকানের প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী হোটেল ব্যবসায়ী সোমর শাহা বলেন, সকালে আমি হোটেলে আসার পর ভোর ৬ টার দিকে বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ ও ঢাকা হার্ডওয়্যার এর উপরে ধোঁয়া ও আগুন দেখতে পাই। পরে আমার ডাকাডাকি ও চিৎকার চেঁচামেচিতে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং কালুখালী ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করলে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা হলেন, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ মোঃ বসির উদ্দিন বিশ্বাস, ঢাকা হার্ডওয়্যার প্রোঃ মোঃ সোহেল সরদার ও মেসার্স আবুল কাশেম মন্ডল প্রোঃ মোঃ আবুল কাশেম মন্ডল।
মেসার্স বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ বসির উদ্দিন বিশ্বাস জানান, আমি প্রতিদিনের মতো রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাই। সকালে খবর পাই আমার দোকানে আগুন লেগেছে। আমি দ্রুত দোকানে এসে দেখি দোকানের মধ্যে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভানোর পরে দেখি আমার দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন আমি নিঃস্ব।
এছাড়াও ঢাকা হার্ডওয়্যারের মালিক মোঃ সোহেল সরদার জানান, রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। সকালে একজন আমাকে ফোন দিয়ে জানায় আমার দোকানে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে দ্রুত আমি আমার দোকানে আসি এসে দেখি দোকানের মধ্যে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভানোর পর দেখি আমার দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই। এতে আমার প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে মেসার্স আবুল কাশেম মন্ডল এর মালিক মোঃ আবুল কাশেম মন্ডল জানান, রাতে গোডাউন বন্ধ করে আমি বাড়িতে চলে যাই। ভোরে হাঁটতে এসে শুনি আমার গোডাউন ও পাশের দুইটি দোকানে আগুন লেগেছে। আমি দ্রুত এসে দেখি গোডাউনে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভানোর পরে দেখি আমার গোডাউনে থাকা ধনিয়া ও পেঁয়াজের পুড়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ৩২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কালুখালী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর জিল্লুর রহমান বলেন, আমরা সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে রতনদিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং তিনটি দোকানের তালা ভেঙে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সকাল ৭ টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে আনুমানিক ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে তদন্তের পর ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ ও আগুনের কারণ জানা যাবে।
কালের সমাজ /মি.স./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :